মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩১ পূর্বাহ্ন

নোটিশঃ
দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সাংবাদিক  নিয়োগসহ পরিচয় পত্র নবায়ণ চলছে।

জলাতঙ্কের অপর নাম মৃ ত্যু

মেঘনাপোষ্ট ডেস্করিপোর্ট :

জলাতঙ্কের মূল কারণ র‌্যাবডো (র‌্যাবিস) ভাইরাস, যা লিসা ভাইরাস গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত। কুকুর, বিড়াল, শিয়াল, বেজি, বানর, বাদুড়সহ যেকোনো বন্য প্রাণীর লালা বা রস যেকোনোভাবে মানুষের শরীর তথা একবার মস্তিষ্কের টিস্যুতে প্রবেশ করলে জলাতঙ্ক হয়ে মৃত্যু নিশ্চিত।

১৮৮৫ সালে প্রথম জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর। তাই কেউ আক্রান্ত হলে প্রধান কাজ হবে জলাতঙ্কের টিকা দেওয়া।
লক্ষণ
কারো শরীরে জলাতঙ্কের লক্ষণ দেখা দিলে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে উন্মত্ত বা পাগলামো আচরণ এবং মৌন আচরণ—এই দুই ধরনের আচরণ দেখা দিতে পারে।

অস্বাভাবিক আচরণ : আক্রান্ত ব্যক্তির কথাবার্তা ও ভাবভঙ্গি হবে অস্বাভাবিক। সে উদ্দেশ্য ছাড়াই ছুটে বেড়াবে, ক্ষুধামান্দ্য হবে, বিকৃত আওয়াজ করবে, বিনা প্ররোচনায় অন্যকে কামড়াতে আসবে ইত্যাদি।

জলাতঙ্ক বা র‌্যাবিস ভাইরাসজনিত এক ধরনের জুনোটিক রোগ, যা প্রাণী থেকে মানুষে ছড়ায়।

মানুষ ও সব গবাদি পশুর জন্য এটি মারাত্মক রোগ। সাধারণত রোগাক্রান্ত গৃহপালিত ও বন্য প্রাণী যেমন—কুকুর, বিড়াল, শিয়াল, বেজি, বানরের কামড়, আঁচড় বা লালার সংস্পর্শে এ রোগ হয়ে মানুষের মৃত্যু ঘটাতে পারে।

অথচ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিলে ভয়াবহতা এড়ানো যায়। লিখেছেন ঢাকার সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মো. গোলাম আব্বাস

নিউজটি শেয়ার করুন

All rights reserved © meghnapost.com